কুষ্টিয়া দৌলতপুর ফিলিপনগরে অস্র,মাদক ও বিষ্ফোরকদ্রব্য সহ আটক-৬

দৌলতপুর প্রতিনিধি।। কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের সাদীপুর ও ইসলামপুর গ্রামে সেনাবাহিনী-পুলিশের যৌথ অভিযানে দেশীয় তৈরি অস্র দা,চাপাতি,হাসুয়া,৪১০ পিচ ইয়াবা,২ বোতল ভারতীয় অবৈধ ফেন্সিডিল,৬ বোতল যৌন উত্তেজক ওষুধ ও বিষ্ফোরকদ্রব্য গান পাউডার সহ ছয় জন গ্রেফতার।গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তিরা ফিলিপনগর ইউনিয়নের চরসাদীপুর গ্রামের ময়েজ উদ্দীনের ছেলে সেন্টু,রিন্টু,মানিক আপন তিন ভাই।হানিফের ছেলে সন্ত্রাসী সজল,নিয়াজের ছেলে মঈনুদ্দিন,হাবিলের ছেলে হানিফ।উল্লেখিত ছয়জনের মধ্যে সজল শরিফ কাইগি বাহিনীর সক্রিয় সদস্য।শরিফ কাইগি বর্তমান প্রয়াত সন্ত্রাসী লালচাঁদ বাহিনীর সক্রিয় সদস্য।৫-ই-আগস্টের পর চরান্চল ফিলিপনগরের কয়েকটি বাহিনীর দৌরাত্ম্য শুরুর হয়েছে।তাঁর মধ্যে যৌথ অভিযানে ছয়জন গ্রেফতার হয়েছেন গতকাল ০২-মে ভোরে।এই ছয়জন ৩ টি বাহিনীর সক্রিয় ডানপিটে সদস্য।গ্রেপ্তারকৃতরা সাদিপুর গ্রামের,এরা বিএনপির সাবেক এমপি সন্ত্রাসের গডফাদার বাচ্চু মোল্লা,শামিম মোল্লা ও শিশির মোল্লা-সমর্থিত।রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর চরান্চল ফিলিপনগরের প্রয়াত লালচাঁদ বাহিনীর দৌরাত্ম্য শুরু হয় আর পরে উল্লেখিত বাহিনীরা সক্রিয় হয়ে উঠে।জনবল কম হওয়া ও স্থানীয় দৌলতপুর থানা পুলিশ কিছুটা নিষ্ক্রিয় থাকার সুযোগে-“দৌলতপুর উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা,তাঁর ভাই শামীম মোল্লা ও বাচ্চু মোল্লার ছেলে শিশির মোল্লার সহ দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য চাঁদাবাজ,লুটপাটকারী বিল্লাল চেয়ারম্যান(সাবেক) এদের কারনেই এলাকায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ফিলিপনগর ইউনিয়নের প্রয়াত সন্ত্রাসী লালচাঁদ বাহিনীর ক্যাডাররা সহ সকল বাহিনী।এতে আতংকে দিন কাটাচ্ছে এলাকাবাসী”।
দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক সভাপতি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা ও মোল্লা পরিবারের কারনে অতিষ্ট দৌলতপুর উপজেলাবাসী।ফিলিপনগর ইউনিয়নের বিষয়ে কেউ বলছেন সন্ত্রাসের জনপদ,কেউবা বলে থাকেন প্রয়াত লালচাঁদ বাহিনীদের অভয়ারণ্য।এই জনপদের মানুষ এখন নির্বিঘ্নে,নিরাপদে,শান্তিতে বসবাস করতে পারছে না।উল্লেখ্য বিষয়ে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হুদার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে,চরান্চলে বিভিন্ন বাহিনীর তথ্য পাওয়া গেছে,সন্ত্রাসী যেই হোক,কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা,উপযুক্ত তথ্যের ভিত্তিতে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।