সিপিসি-১ (কুষ্টিয়া), র্যাব-১২’র অভিযানে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলায় চককৃষ্ণপুর গ্রামের মারুফ হোসেন অপহরণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার


ঢাকা নিউজলাইন ডেস্ক :
কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলায় চককৃষ্ণপুর গ্রামের মারুফ হোসেন অপহরণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার।
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণ ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারন জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ২৫ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ রাত ০৮ঃ৩০ ঘটিকার সময় কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার চককৃষ্ণপুর গ্রামে মোঃ মারুফ হোসেন (৩৫) নামের একজন যুবককে অপহরণ করা হয়। এ প্রেক্ষিতে ২৮ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং ৭১/২৩৬, তারিখঃ ২৮/০৪/২০২৩, ধারা-৩৬৫/৩৪ পেনাল কোড। পরবর্তীতে ০২ মে ২০২৩ তারিখ দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর এলাকায় বালু চাপা দেওয়া অবস্থায় একটি অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিখোঁজ মারুফ এর পরিবারের লোকজন মৃতদেহটি শনাক্ত করে।
উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনাটি বিভিন্ন জাতীয় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে র্যাব আসামীদের গ্রেফতারের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্প, র্যাব-১২’র একটি আভিযানিক দল র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় উক্ত অপহরণ এবং হত্যাকান্ডের এজাহারনামীয় প্রধান আসামি বেনজির আহম্মেদ @ রুবেল (৩৫), পিতা-মৃত আবুল কালাম আজাদ,সাং-কাপড়পোড়া, থানা-দৌলতপুর, জেলা-কুষ্টিয়া’কে কে অদ্য ০৫ মে ০২৩ তারিখ ভোর ৫ঃ০০ ঘটিকায় নাটোর জেলার লালপুর এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেখানো মতে নিহত মারুফ এর মোটরসাইকেল দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা এলাকা হতে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি রুবেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোঃ মারুফ হোসেন হত্যাকান্ডে তার সক্রিয় ভাবে জড়িত আছে বলে জানা যায়। নিহত মারুফ এর সাথে মাদক ব্যবসার টাকা নিয়ে দ্বন্দের জেরেই উক্ত হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে সে জানায়। রুবেল ছাড়াও আরও ৬/৭ জন উক্ত হত্যাকান্ডে অংশ নিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।