রাজশাহী বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর গোয়েন্দা টীম কর্তৃক বগুড়া শেরপুর থেকে ০৮ কেজি গাজাঁ উদ্ধার,আটক-১


আব্দুস সবুর ঢাকাঃ রাজশাহী বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর গোয়েন্দা শাখা টীম,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার ঘোগা ব্রীজ সংলগ্ন গাড়ই বাসস্ট্যান্ড মোঃআঃমান্নান মুদি দোকানের সামনে ঢাকা হতে বগুড়া গামী মহাসড়কের দক্ষিন পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপরে শাহ ফতেহ আলী পরিবহন যার রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো-ব ১৪-৮৩৪২ বাস তল্লাশী করেন,গাড়ীর ভিতরে মাঝখানে বাম পার্শ্বের এক সিটে বসা টিকিট বিহীন যাত্রীর দেহ বিধি মোতাবেক তল্লাশী করে,তল্লাশি পরে আসামীর দুই পায়ের মাঝখানে একটি কাপড়ের ব্যাগের মধ্যে স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা প্রাপ্ত হয় অভিযানিকদল।এসময় তাঁদের কাছ থেকে আট কেজি গাজাঁ উদ্ধার হয়।২১/১২/২০২৩ ইং তারিখ বৃহস্পতিবার দুপুর ০৩:৩০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহীর বিভাগীয় গোয়েন্দা টীম জানতে পারে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার ঘোগা ব্রীজ সংলগ্ন গাড়ই বাসস্ট্যান্ড,ঢাকা হতে বগুড়া গামী মহাসড়কের দক্ষিন পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপরে শাহ ফতেহ আলী পরিবহনে এক মাদক কারবারি মাদক গাঁজা পাচার করছে,তথ্য অনুযায়ী উল্লেখিত বাসের যাত্রীকে তল্লাশী চালিয়ে আট কেজি গাঁজা উদ্ধার করে রাজশাহী বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানিকদল।গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তি নরসিংদী জেলার,সদর উপজেলার-কালাই গোবিন্দপুর এর নুরুল ইসলামের ছেলে রুস্তম আলী(৪৫)।অভিযানিকদল দুইটি পোটলা থেকে চার কেজি করে,যাহা পলিথিন স্কচ টেপ দ্বারা মোড়ানো এক একটি পোটলা থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা চার কেজি করে মোট আট কেজি উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে ও একটি মোবাইল ফোন,একটি সিম সহ জব্দকরে।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ অভিযানের নেতৃত্ব প্রদান করেন,রাজশাহী বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিচালক জিল্লুর রহমান,অভিযান পরিচালনা করেন পরিদর্শক পারভীন আক্তার,উপ-পরিদর্শক জনাব মোঃমোসাদ্দেক হোসেন,উপ-পরিদর্শক জনাব মোঃহুমায়ুন কবির,এএসআই মোহাম্মদ জনাব শহিদুল ইসলাম আকন্দ,এএসআই জনাব মোঃ বায়েজিদ হোসেন,এএসআই জনাব মোঃ শাহজাহান আলী,সিপাই জনাব হাবিবা খাতুন এবং সিপাই জনাব মোঃ রাসেল ইসলাম এর সমন্বয়ে একটি রেইডিং টিম গঠন করে উক্ত রেইডিং টিমের সহযোগীতার ভাড়া গাড়ী যোগে বগুড়া জেলার শেরপুর থানাধীন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে সফল অভিযান করেন।গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক পারভীন আক্তার বাদী হয়ে বগুড়া জেলার শেরপুর থানাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন,২০১৮ সনের ৩৬(১)সারণীর ক্রমিক নং ১৯(খ),ধারাতে মামলা রুজু করেন।মামলা নাম্বার-১৯,তারিখ ২১/১২/২০২৩।এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিচালক জিল্লুর রহমান বলেন,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিষয়ে জিরো ট্রলারেন্স ঘোষনা অনুযায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় এর সুরক্ষা শাখা ও হেডকোয়ার্টারের নির্দেশ মোতাবেক,আমাদের রাজশাহী বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর গোয়েন্দা শাখার রেইডিং টীম সকল সময় মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি,তাই আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় মাদক মুক্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টায় বদ্ধপরিকর।মাদক ব্যবসায়ী যেই হোক,তাদের সাথে কোন আপোষনেই।কোনো মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড় দেওয়া হবেনা।উপযুক্ত তথ্য মোতাবেক এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।