পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা ঢাকা-(Warpo)-র এবিএম গোলাম ফারুকের নিয়োগ বানিজ্য ও স্বেচ্ছাচারিতা

newsline24newsline24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  03:52 AM, 06 June 2023

আব্দুস সবুর ঢাকা:

সাতক্ষীরা জেলার সাবেক তালা উপজেলার বর্তমান পাটকেলঘাটা থানাধীন, ৪ নম্বর কুমিরা ইউনিয়নের প্রয়াত চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রীর দ্বিতীয় পুত্র এবিএম গোলাম ফারুক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে পড়ালেখা করেছেন। রাজশাহী বাগমারা উপজেলার বাংলা ভাই ওরফে সাইদুর রহমান(বাংলাভাই)-এর কাছের বন্ধু ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রুমমেট ও আত্মার বন্ধু ছিল এই এবিএম গোলাম ফারুকের। বাংলা ভাই তার কাছের বন্ধু থাকাতে ক্ষমতার অপ-ব্যবহারের নেশায়যেনো তার লক্ষ্য।ভাগ্যক্রমে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা ওয়ারপো শাখাতে চাকরি পেয়ে যাই এই এবিএম গোলাম ফারুক। চাকরিতে যোগদানের পর হতেই বিভিন্ন শাখাতে পোস্টিং বদলি বাণিজ্য এমনকি তদবিরের কাজেও লিপ্ত থাকেন এই এবিএম গোলাম ফারুক। ঠিক তার টার্গেট অনুযায়ী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিকল্পনা সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে যোগদানের পর হতেই তিনি শুরু করেন তার ক্ষমতার অপব্যবহার ।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকার প্রধান কার্য্যালয় পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা (ওয়ারপো)-warpo-(Water resources Planning organaization)-নিয়োগে দুর্নিতীর তথ্য মিলেছে।যানা- যায়, ১৯/০২/২০২২ ইং তারিখে পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা (ওয়ারপো)-তে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। যাহার স্মারক নম্বর‌‌
৪২.০২.০০০০.০০৩. ১৮.০১০.১৯ (৩য় খন্ড)-৬৩৯, উল্লেখিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সদস্য সচিব (অঃদা)-ওয়ারপো-পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অধিনস্থ-পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা(ওয়ারপো)-তে এবিএম গোলাম ফারুক সাক্ষরিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় পানি সম্পদ সংস্থা (ওয়ারপো)-তে রাজস্ব খাতে পদ সমূহে অস্থায়ী ভিত্তিতে ঢাকা বিভাগ ব্যাতীত-৭(সাত) টি বিভাগীয় জেলা কার্যালয়ের জন্য ১ নং হতে ৪ নং ক্রমিক নম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন পদে মোট-৩৫ (পঁয়ত্রিশ) জন জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। উল্লেখ্য যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে-১(এক)নং ক্রমিক নম্বরের নবসৃষ্টপদবী উপ-সহকারী প্রকৌশলী / কার্টোগ্রাফার ও ক্রমিক নং-২(দুই)-এর-হিসাব রক্ষক পদবীতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা ছিলো। অনুসন্ধানে পাওয়া-যায় ক্রমিক নং- ১ ও ২ পদবী সহ সকল পদেই নিয়োগ দিয়েছেন উল্লেখিত নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব এবিএম গোলাম ফারুক (অঃ দাঃ)- পরিকল্পনা সাংস্থা-(Warpo)-র প্রধান কার্যালয়ের অধীনে উপ-সচিব ( নন-ক্যডার) পদ-মর্যাদায় কর্মরত আছেন।
পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা(ওয়ারপো)’র প্রধান কার্যালয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে ও সরোজমিন অনুসন্ধানে পাওয়া যায়- উল্লেখিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যাহারা নিয়োগ পেয়েছেন। নিয়োগ প্রাপ্তদের মধ্যে সিংহভাগ ব্যক্তি-ই
অসাধু উপায়ে লিখিত পরীক্ষা ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশকৃত চাহিদা অনুযায়ী একাডেমিক সনদপত্র সহ সব কিছূই জ্বলিয়াতি ও অনিয়মের মাধ্যেই উপস্থাপন করে নিয়োগ পেয়েছেন, যাহা একদম বে-আইনী ও দুর্নীতি হয়েছে কিছু তথ্য-উপাত্তর ভিত্তিতে প্রমান পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য যে- অসাধু উপায়ে নিয়োগ প্রাপ্তরা স্ব স্ব কর্মস্থলে যোগদানের পরো তাদের চাকুরী স্থায়ী হয় নাই – কারণ, উল্লেখিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অসাধু উপায়ে যেসব ব্যক্তিরা নিয়োগ পেয়ে বিভিন্ন বিভাগীয় অফিসগুলোতে কর্মরত আছেন – আর এ অসাধু উপায়ে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে- সেই নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব এবিএম গোলাম ফারুক সহ উক্ত নিয়োগ কমিটির সকলেই নিজের মতকরে এবিএম গোলাম ফারুকের প্রাণবন্ত সকল সদস্য,উল্লেখিত নিয়োগ কমিটি সকল কর্মকর্তার সক্রিয়তার কারণেই জ্বালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে সেটা নিয়ে পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা (warpo) কার্যালয় সহ বিভিন্ন শাখাতে ব্যাপক কানাঘোষা এখনো চলমান এবং এমন অনিয়ম করে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছে তাই এখন পর্যন্ত স্থায়ী করন নিয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাদের মধ্যে মত-বিরোধ চলমান। তথ্যমতে জানাগেছে গত ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে অডিট হয় ওয়ারপো শাখাতে,অডিট টীম উল্লেখিত নিয়োগের দুর্নীতির প্রমান পেয়েজান,দৌড়ঝাপ শুরু করে এবিএম গোলাম ফারুক। পরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অডিট শাখাকে এবিএম গোলাম ফারুক তার নিজের আয়ত্ত করে বিষয়টি ধামাচাপা দেন।শুধু তা-ই-নই-এই এবিএম গোলাম ফারুক ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের মত করে চলেন অফিসে,মানেন-না সরকারি নির্দেশনা,তোয়াক্কা করেন-না- উর্ধতন কর্মকর্তাদের।
এই এবিএম গোলাম ফারুক পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা ওয়াপোর প্রধান কার্যালয়ে যোগদানের পর হতেই গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়।যাহা-গাজীপুর টঙ্গীর ধীরাশ্রম নামীয় স্থানে দুই বিঘা তিন কাঠার একটি প্লট, যেখানে রয়েছে গরুর ফার্ম, কাঁঠালের বাগান।ঢাকার মিরপুর ৭ নম্বরে একটি ছয়তলা বাড়ি কিনেন,

নাম্বার-১১,রোড-৩, ব্লক-এ,আরামবাগ ঢাকা।বাড়িটি কেনার পর নিজের মত করে মেরামত করেছেন।ঢাকা মিরপুর ৭ নম্বরের উল্লেখিত ঠিকানার আশেপাশেই দুইটা ফ্লাট ক্রয় আছে বলে তথ্য আছে।শুধু তা-ই-নই গোলাম ফারুকের নামে বেনামে রয়েছে একাধিক ব্যাক্তিগত গাড়ী।তবে তথ্য আছে সরকারি গাড়ীনিয়ে তার নিজ গ্রাম, জন্মস্থানে যায় এই গোলাম ফারুক, যাহা-অফিসের লগ বই-এর তথ্য রয়েছে।গোলাম ফারুকের নামে বেনামে রয়েছে বিভিন্ন ব্যংকে একাউন্ট, আর সেই একাউন্ট গুলো হতেই লেনদেন করেন গোলাম ফারুক।এবিএম গোলাম ফারুকের জন্মস্থান, তার নিজ গ্রামে সরোজমিনে গিয়ে তথ্য পাওয়া যায় গত ১ বছর ২ মাস হল , তার নিজ গ্রামের আতিয়ার রিফুজি, রেজাউল রিফুজি, আজিজুল রিফুজি, ও আফজাল রিফুজি এদের কাজ হতে ২৩ লক্ষ টাকা দিয়ে ক্যশার বিল নামক স্থানের ছয় বিঘা জমি ক্রয় করেছেন।এই এবিএম গোলাম ফারুকের নিজগ্রামের শ্রী গোবিন্দ হাইস,পিতা মৃত: যথাযথা হাইস,গ্রাম কাইওম খোলা,

থানা উপজেলা তালা, জেলা সাতক্ষীরা নামক ব্যক্তির কাছ থেকে ৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেছে ৩০ লক্ষ টাকা দিয়ে, মেইন রাস্তার পাশে বাড়ি করেছে ছয়তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে ও পজিশন অনুযায়ী বাড়ি সংলগ্ন অনেকগুলো দোকান ও গোডাউন তৈরি করেছে-যাহা দৃশ্যমান।স্থানীয় সূত্রে আরও তথ্য পাওয়া যায় খুলনা শহরে এবিএম গোলাম ফারুকের একটি বড় বিল্ডিং রয়েছে।সরোজমিনে স্থানীয়দের তথ্য মতে আরো জানা যায়-তালা উপজেলার বাহাদুরপুর সেনপুর গ্রামের বাগ-শাহাকারিয়া আলিম মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক আব্দুল ওহাব মাস্টারের ছেলে ইকরামুল কবিরকে ২০২২ সালে অনেক টাকার বিনিময়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী(কার্টোগ্রাফার) ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি দিয়েছেন এই এবিএম গোলাম ফারুক।গোলাম ফারুক নিজ এলাকার লোকজনের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে অনেককে চাকরি দিয়েছেন, যাহারা টাকার পরিমান কম দেয় তাদের চাকরি দেয় না এমন অভিযোগ তুলে ধরেছেন তার নিজ এলাকার কিছু লোকজন।তবে যাদের চাকরি দেবো বলে টাকা গ্রহণ করে, অন্য কোথাও বেশি টাকা পেলে তাদের ওই পরিমাণ টাকা ফেরত দেয় এবং বলে এর চেয়ে বেশি টাকা যেখানে দিবে তাদেরি নিয়োগ দেয়া হয়।গোলাম ফারুকের নিজ গ্রামের কিছু লোকজন বলে গোলাম ফারুক গ্রামে আসে প্রতি সপ্তাহে এসে চাকরির দেন-দরবার করে বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেওয়া কথা বলে।এই আসাধু উপায়ে তৎকালীন নিয়োগ কমিটি’র সদস্য সচিব- বর্তমান উপ-সচিব(নন-ক্যডার)পদ মর্যাদায় – এবিএম গোলাম ফারুককে অসাধু উপায়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে – এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে জানার জন্য তার মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়,তবে বর্তমান দায়িত্বরত পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার মহাপরিচালক মো:রেজাউল মকছুদ জাহেদী কে উল্লেখিত বিষয়ে জানার জন্য তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন কল রিসিভ করেনি।

আপনার মতামত লিখুন :