নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ জলে যেতে বসেছে সরকারের উন্নয়নের কোটি টাকা।
মিরপুর নওদাপাড়া ও দৌলতপুরে শেরপুরের ব্রীজ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ।
শুরুতেই পিসি গার্ডারে টেনশন দিতে গিয়ে ক্র্যাক্কাজের মান নিয়ে জনমতে প্রশ্ন।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম এম বিল্ডার্স খুলনা জনের কুষ্টিয়া অঞ্চলের ছয়টি ব্রীজের একটি নিম্ন দরদাতা হিসেবে টেন্ডারের মাধ্যমে ট পান। যার প্যাকেজ টেন্ডার নম্বর ৬১৭৩৫০ এবং উক্ত ছয়টি কাজের মধ্যে কুষ্টিয়া -মেহেরপুর রোড়ের নওদাপাড়ার ৮২.০৬মিটার ব্রীজটি ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্য দিয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে যদিও ব্রীজটির প্রাক কলিত মূল্য ১৪১১৫৭৫২৩.১৪২ টাকা অর্থাৎ একটি বাজেটের কাজ তার পরেও এই কাজে চলছে ব্যাপক অনিয়ম আর দুর্নীতি। নিম্নমানের ও অন্যান্য ম্যাটেরিয়ালস দিয়ে তৈরী হচ্ছে এই ব্রীজ এমনটি অভিযোগ এলাকাবাসীর। সড়ক ও জনপদের স্থানীয় দপ্তরের SAE, SDE, XEN সহ আরও বেশ কিছু কর্মকর্তা ঠিকাদারদের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা নিয়ে এই অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত আছে বলেও আভিযোগ করেন।
আমাদের কাছে এমনটি ও অভিযোগ আছে বলেও সিডিউলে বলা পাইল হবে ৩৫ মিটার অথচ সেখানে হয়েছে ২৫ মিটার যা শিডিউলের বহিরভূত কাজ হয়েছে সিডিউলে আরও উলে-খকরা রয়েছে যে পঞ্চগড়ের মোটা বালি ব্যবহার করার কথা অথচ সেখানে ভেড়ামোরা থেকে উত্তোলিত নিম্নমানের রানিং বালিও ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই সকল মেটেরিয়ালস ব্যবহার করার কারণে কাজটি একদিকে যেমন অতি নিম্নমানের হচ্ছে অপরদিকে লুটেরা লুটে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। উলে-খ্যাযে এখানে তিনটি পিসি গার্ডার ইতিমধ্যে ঢালাই সম্পূর্ণ করা হয়েছে তার মধ্যে একটি পিসি গার্ডারে টেনশন দিয়ে গিয়ে ক্র্যাক্করে যা নিম্নমানের ম্যাটেরিয়ালস ব্যবহার করার কারণেই হয়েছে এবং পিসি গাডারটি ক্রাক করার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাতের অন্ধকারে দ্রুত ভেঙে উক্ত স্থান থেকে অপসারণ করে যা সাধারণ জনগণের ভিন্ন রকমের কৌতূহল সৃষ্টি করে।
এমনটিওর অভিযোগ রয়েছে যে যেখানে পাথর ও সিমেন্টের রেশিও থাকার কথা এক ৫/১ অথচ সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে ১২/১।
এছাড়াও দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের অন্তগর্ত শেরপুর গ্রামে অবস্থিত দৌলতপুর থেকে মিরপুর ও কুষ্টিয়া যাতায়াতের অন্যতম সংযোগ শেরপুর নদীর উপরে একটি ব্রীজ এই ব্রীজটি শতবছর পুরোনো হওয়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সেখানে একটি নতুন ব্রীজ নির্মাণের জন্য টেন্ডার দেওয়া হয় এম এম বিল্ডার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।
ব্রীজের কাজ শুরু হতে না হতেই প্রশ্ন উঠে কাজের মান নিয়ে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় কাজের শিডিউল অনুযায়ী মানা হচ্ছে না কোন রেশিও ইচ্ছে মতো পাথর বালি ও সিমেন্ট মিক্সিং করে তৈরি হচ্ছে ব্রীজের মূলভিত্তি পাইলিং।
এই বিষয়ে কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপদ ঢউঘ সাথে ব্রিজ নির্মাণে এই সকল অনিয়ম দুর্নীতির কথা বললে তিনি বলেন আমার জানা নেই বিষয়টি আমি দেখবো।
এবং পিসি গাডার ক্র্যাক্ক হওয়ার বিষয় নিয়ে কথা বললে তিনি বলেন যেহেতু ঠিকাদার ক্র্যাক হওয়া পিসি গার্ডারটি অপারেশন করে ফেলেছে সেহেতু এ বিষয় নিয়ে আমাদের এতটা ভাবার বিষয় নয়। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এলাকাবাসীর চাওয়া সিডিউল অনুপাতে নির্মিত হোক এই ব্রীজটি।