দৌলতপুরে প্রকাশ্য অস্ত্রবাজী করেও সিদ্দিক এখনো বহাল তবিয়্যতে


নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের জয়রামপুর গোরস্থান পাড়ার মতিউর রহমানের (হুজুরের) ছেলে একাধিক মাদক মামলার আসামি বিখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী আবু বক্কর সিদ্দিক এলাকায় প্রকাশ্যে অস্ত্রবাজি করেও এখনও বহাল তবিয়্যতে ঘুরে বেড়াচ্ছে ।এলাকাবাসীর সুত্রে জানা যায়, গত বছর ২৮ শে মার্চ ২০২২ ইং তারিখে সন্ধ্যার পরে একই এলাকার সাবেক মেম্বার আব্দুল আজিজকে হত্যা চেষ্টায় আগ্নীয় অস্ত্র ব্যবহার করে আবু বক্কর সিদ্দিক।এসময় এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে ও সাবেক মেম্বার আজিজ কে হত্যা করার জন্য দুই রাউন্ড গুলি ফোটাই মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী আবু বক্কর সিদ্দিক।ঐদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে এলাকাবাসী দৌলতপুর থানা পুলিশকে বিষয় টি অবহিত করলে, ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নেয়, উক্ত ঘটনাই তৎকালীন ওসি জাবিদ হাসান ঐ সময় জানান, সেখানে বিভিন্নভাবে তদন্ত করে জানা যায়, দুই রাউন্ড গুলি ফোটানো হয়েছে কিন্তু আমরা তার কোনো আলামত পাইনি।এ ঘটনায় সাবেক মেম্বার আব্দুল আজিজের ছোট ভাই শহিদ বাদী হয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে ২৫/৩০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।কিন্তু আইনের বিভিন্ন ফাঁক-ফোকর দিয়ে কিছুদিন পরেই অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে এসে পুনরায় একই তাণ্ডব শুরু করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী আবু বক্কর সিদ্দিক যা এখনো চলমান রয়েছে।এচাড়া আবু বক্কর সিদ্দিকের নামে দৌলতপুর থানাতে রয়েছে একাধিক মাদক মামলা সহ অন্যান্য মামলা-যাহার নম্বর দৌলতপুর জিআর-৫৮/১৮,২০৫/২৩৮-২২,৫৬৪,১৫০,বর্তমানে এলাকার সাধারণ মানুষ আবু বক্কর সিদ্দিক এর অত্যাচারী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ঐ এলাকার সাধারণ মানুষের এখন একটাই দাবী যে কোনভাবে সিদ্দিকের এইসকল তান্ডব থামাতে তাকে পুনরায় আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।এলাকাবাসী আরো জানান, মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী আবু বক্কর সিদ্দিক এর কাছে এখনো পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ অস্ত্র মজুদ আছে যার কারণে এলাকার সাধারণ মানুষের ওপর সিদ্দিক প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছে অন্যায় অত্যাচার।তার কাছে থাকা এসকল অবৈধ আগ্নেয় অস্ত্র উদ্ধার না করা হলে সে দিন দিন হয়ে উঠছে আরও বেপরোয়া।পুরো এলাকাজুড়ে চলছে সিদ্দিকের রাজত্ব, তার মতের বাইরে যেই যাই তার জীবনে নেমে আসছে ঘোর অন্ধকার।এ সকল বিষয় জানার জন্য আবু বক্কর সিদ্দিক এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।