গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত-দুই বছর পর নতুন মামলায় এসআই গ্রেপ্তার
ঢাকা নিউজলাইন ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলে গুলি করে যুবদল কর্মী শাওন আহম্মেদ আকাশকে হত্যার মামলায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তৎকালীন উপপরিদর্শক গ্রেপ্তার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বর্তমান কর্মস্থল ঢাকার ১৩ এপিবিএন থেকে মাহফুজুর রহমান কনক নামে ওই এসআইকে গ্রেপ্তার করে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।শুক্রবার দুপুরে তাঁর ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাফিয়া শারমিনের আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে আদালত আগামী সোমবার রিমান্ড শুনানির তারিখ দিয়ে কনককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।শাওনের পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ হয়।ওই সময় পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীও সংঘর্ষে জড়ায়।সেখানে ডিবির উপপরিদর্শক কনকের ছোড়া গুলিতে শাওন নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২ সেপ্টেম্বর বড় ভাই মিলন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।তবে চাপের মুখে অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে বিএনপিরই ৫ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করতে হয়।এর পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২১ অক্টোবর মিলন সদর থানায় নতুন হত্যা মামলা করেন।এতে সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান,নজরুল ইসলাম বাবু,গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক, সাবেক এসপি গোলাম মোস্তফা রাসেল,জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ,নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমান,এসআই কনকসহ ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।বাদী মিলনের অভিযোগ,তাঁর ভাইয়ের মরদেহ পুলিশি পাহারায় দাফন করা হয়। জানাজায় পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মীকে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।পরে তাঁকে ও পরিবারের লোকজনকে চাপ দিয়ে বিএনপিরই পাঁচ হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিতে বাধ্য করা হয়।দ্রুত চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে আদালতে হাজির করে।চূড়ান্ত রিপোর্ট গৃহীত হলে আপত্তি নেই বলে জবানবন্দি দিতেও বাধ্য করা হয়।