কুষ্টিয়া ভেড়ামারা সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিশেষ তৎপরতায় চুরি, ছিনতাই চক্র ও সর্ব অপরাধের হোতা গ্রেফতার, পরের দিন-ই জমিন


নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুষ্টিয়া ভেড়ামারা পৌর-৯নং ওয়ার্ডের (বর্তমান পৌর ০৬ নম্বর ওয়ার্ডের)মৃত রেজাউল হকের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী, চুরি, ছিনতাই দস্যুতা, চাঁদাবাজ,ফিটিং সিন্ডিক ও সর্ব অপরাধ সংশ্লিষ্টের মূলহোতা রাশেদুজ্জামান রোকন ওরোফে ফিটিংবাজ রুপমের এবং কুষ্টিয়া জেলার সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়দানকারী কথিত সোর্সের বিরুদ্ধে গত ২৮/০৪/২০২২ ইং তারিখ ভেড়ামারা থানাতে ভূয়া পুলিশ পরিচয় দিয়ে পথরোধ করে প্রান-নাশের হুমকি ধামকি দিয়ে জোর পূর্বক মারধর করে চুরি-ছিনতায়ের অভিযোগ দায়ের করেছিলো এক ভুক্তভোগী।ভেড়ামারা থানাতে অভিযোগের পর হতে সেই ডানপিতে ও কথিত সোর্স রূপম ওরোফে
রোকন স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভয়ে গা-ঢাকা দেই। ভেড়ামারা থানার প্রত্যেক অফিসার কন্সটেবলের সাঁড়াশি তৎ পরাতেয়ো রুপম ওরোফে ফিটিং রোকনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছিলো না।ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদ্য যোগদানের পর হতেই, সরাসরি তিনি কথিত সোর্স রূপম/রোকনের বিরুদ্ধে নানান অপরাধের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি জানতে পারেন। কথিত সোর্স রুপম/ রোকনের নানান অপরাধে লিপ্ত থাকার বিষয় গুলো অতি:পুলিশ সুপার ভেড়ামারা সার্কেল অবগত হয়। এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের মাধ্যমে ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিশেষ দিক নির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ তদন্ত ভেড়ামারা থানার চৌকশ টীমের সঠিক অভিযানে-কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলা চত্ত্বরে রোকন/রূপমের সন্ধান পেয়ে ভেড়ামারা সার্কেল-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস.এম মহসিন আল মুরাদ সাহেবের অনুমতিক্রমে কথিত সোর্স রুপম/রোকনকে গ্রেফতার করেন দৌলতপুর থানা পুলিশের চৌকশ অফিসার
এসআই মিরাজ হাসান সহ সঙ্গীয় ফোর্স,গ্রেফতারের পর কথিত সোর্স রুপম/রোকনকে দৌলতপুর হাজতখানাতে রাখেন।পরে দৌলতপুর থানা পুলিশ কথিত সোর্স রুপমকে সুস্থ শরিরে ভেড়ামারা থানা পুলিশকে বুঝিয়ে দেই।তথ্য নিয়ে যানা-যায় উল্লেখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ভেড়ামারা থানাতে কথিত সোর্স রুপম ওরোফে ফিটিং রোকন-সহ আরো ২(দুই) জনের নামে পথ-অবরোধ করে মারপিট সহ জখম,চুরি,হুমকি প্রদর্শন ও ৬-হাজার ৫-শত টাকা ছিনতায়ের অপরাধে ধারা-৩৪১/৩২৩/৩৭৯/৫০৬ পেনাল-কোড-১৮৬০-তে মামলা রেকর্ড হয়,ভেড়ামারা থানার মামলা নম্বর-১০,গ্রেফতারকৃত আসামি কথিত সোর্স রুপম/রোকনের অপরাধের শেষনেই,যাহা-ভেড়ামারা ও দৌলতপুর উপজেলাবাসীর বেশিরভাগ সাধারন মানুষ, সু-শীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ জানেন।কিন্তুু কথিত সোর্স
রুপম ওরোফে ফিটিং রোকন গ্রেফতার হওয়ার পরের দিন-ই কুষ্টিয়া আদালত হতে জামিন পেয়েজাই!!রাশেদুজ্জামান রোকন/রুপমের বিষয়ে তথ্য নিয়ে আরো জানা-যায়-পূর্বে এই কথিত সোর্স রোকন ওরোফে রুপমের নামে ভেড়ামারা থানাতে আরো ২ টি জিআর মামলা রয়েছে,একটি ২৬/০৪/২০১৭ ইং সালের ডাকাতি প্রস্তুুতির অপরাধ-ধারা-৩৯৯/৪০২ পেনালকোড-১৮৬০-তে মামলা হয়,যাহার নম্বর-৬৪”ভেড়ামারা থানা”, আরো একটি মাদক মামলা আছে কথিত সোর্স রুপম/রোকনের নামে।
রুপম রোকনের বিষয়ে ভেড়ামারা ও দৌলতপুর উপজেলায় বসবাসকারী বেশির ভাগ মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। রুপম/রোকন গ্রেফতার মর্মে ভেড়ামারার ও দৌলতপুরে বসবাসরত মানুষদের কাছে জানতে চাওয়া হলে সন্তোষ প্রকাশ করেন ও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জ্ঞপন করেন। কিন্তু গ্রেফতার হওয়ার পরের দিন আদালত হতে জামিন পাওয়াতে এলাকাবাসী হতবাক!!এই কথিত সোর্স রুপম/রোকন গ্রেফতার হওয়া পরের দিন-ই- জামিন পাওয়া প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভেড়ামারা সার্কেলের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, রাশেদুজ্জামান রোকন/রুপমের বিষয়ে বেশ একাধিক অভিযোগ আছে- তার মধ্যে উল্লেখ্য অভিযোগ সেটা সঠিকভাবে তদন্ত করে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কারণে রুপমকে উল্লেখ্য অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।রোকন/রুপম কে অভিযোগের সাথে সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে তাই গ্রেফতার করে পুলিশ তাদের কাজ করেছে, আদালতের বিষয়টি সম্পূর্ন আদালত করবে। তবে পরবর্তীতে এমন ধরনের কোনো অপরাধের সাথে কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে, সেটা কঠোর ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, শুধু তাই নই অপরাধী যে-ই-হোকনা কেনো অপরাধের সাথে জড়িত প্রমাণ পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না এবং এই অভিযোগের আরো আসামী আছে তাদের গ্রেফতারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলমান রয়েছে।