কুষ্টিয়া ভেড়ামারা থানাতে আবারো রুপম/রোকনের নামে অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক //
কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলার পৌরসভা ৯-নং ওয়ার্ডের মৃত রেজাউলের ছেলে রোকনুজ্জামান রুপম ওরোফে রোকন সহ ৪ (চার)-অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে রাস্তাতে স্বামী-স্ত্রী আরোহী চলমান অবস্থাতে মোটরসাইকেল থামিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী দম্পতি। ভুক্তভোগী দম্পতি-র বাড়ি পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলাতে।ভুক্তভোগী তাহাসিন তানিন সহকর্মীর বাড়িতে ঈদ পরবর্তী পারিবারিক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন।তাঁর সহকর্মীর বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর গ্রামে।শুক্রবার ২৮/০৪/২০২৩ ইং তারিখ বিকেলে সহকর্মীর বাড়ি হতে তাহাসিন তানিন দম্পতি মোটরসাইকেল যোগে তাঁর বাড়ি পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে ফিরে যাওয়ার সময় ভেড়ামারা থানাধীন মেইনরোড সংলগ্ন কাজিহাটা- প্রয়াত কুদ্দুস চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে একটি দোকানে সাময়িক বিশ্রামের জন্য বসেন, রাস্তার অপরপাশে ছাই বাজার নামক স্থানে সানোয়ারের চায়ের দোকানের চা-পানের সময় হঠাৎ নীল কালারের আর-টি-আর এপাচি ১৫০ সিসি মোটরসাইকেলযোগে ২(দুই)জন ব্যক্তি এসে ভুক্তভোগী দম্পতিদের সাথে অসদাচরণ শুরু করেন,এক পর্যায়ে স্থানীয় বেশ কয়েকজন বয়স্ক গন্যমান্য ব্যাক্তি এসে ভুক্তভোগী দম্পতিদের কাছে অসদাচরণের ঘটনা শোনার পর চলেযেতে বলেন,ভুক্তভোগী দম্পতি মোটরসাইকেলযোগে কাজিহাটা ছাইবাজার হতে ঈশ্বরদীর উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার এক পর্যায়ে সেই উল্লেখিত নীল কালার আর-টি-আর এপাচি মোটরসাইকেলযোগে ২ জন ব্যক্তি তাঁদের পিছন পিছন চলমান অবস্থাতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও মোবাইলফোনে কাদেরযেনো সামনে ব্যরিকেড দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেই,চলমান অবস্থাতে ভেড়ামারা থানাধীন ফায়ার সার্ভিসের সামনে নুর নার্সারি নামক মেইনরোড এরিয়াতে ভুক্তভোগী দম্পতিদের অপর পাশ হতে ২ টা মোটরসাইকেলযোগে আসা ব্যক্তিরা ব্যরিকেড দেই ও দম্পতিদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে,পরে ভুক্তভোগী দম্পতিদের নানান ভয়ভীতি ও কৌশল অবলম্বন করে নগদ টাকা নিয়ে যায় উল্লেখিত নীল কালারের আর-টি-আর এপাচির ও তার নির্দেশনার ব্যরিকেড দেওয়া অপরদিকের ২ মোটরসাইকেল আরোহীরা, ভুক্তভোগী তাহসিন তানিনের মোবাইল নম্বর নিয়ে তাঁর নম্বরে কল করে ও হুমকিদিয়ে-বলে এ বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য,আরো বলে,যেহেতু ঈশ্বরদীতে যাওয়া পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কোনো পুলিশ প্রশাসনের আশ্রয়নিলে মোবাইল নম্বর থাকলো সেহেতু ব্রীজের এপার হতেই ঝামেলা করবে মর্মে হুমকিদেই -(ভুক্তভোগী দম্পতির দেওয়া তথ্যমতে)।ভুক্তভোগী দম্পতি ঘটনাস্থল হতে যাওয়ার পরপরি ভেড়ামারা থানাতে গিয়ে কর্তব্যরত অফিসারকে ঘটনাটি খুলে বলার পর সেই মোবাইল নম্বরটি কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার কে দেওয়ার পরপরি যথেষ্ট আন্তরিকতার সহিত ভেড়ামারা থানা পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর ঘটনার সত্যতা পাই ও সেই চাঁদাবাজি ব্যাক্তিদের সনাক্তকরেন ও নাম ঠিকানা মিলে রুপম/রোকনের, সাথে ভেড়ামারা ফারাকপুর গোরস্থানপাড়া এলাকার রোহান সহ আরো বেশ কয়েকজনের নাম।পরে ভেড়ামারা থানার কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার ও সিনিয়র অফিসারদের সাথে আলোচনা করে ভুক্তভোগী তাহসিন তানিন নিজে বাদী হয়ে উল্লেখিত ব্যক্তিদের নামে লিখিত অভিযোগ করে।উপরে উল্লেখিত ঘটনার বিস্তারিত বলেন ভুক্তভোগী দম্পতি-র অভিযোগের বাদী তাহসিন তানিন। এদিকে খোজ খবর নিয়ে আরো জানা- যায় রুপম/রোকন
পেশাতে একজন সক্রিয় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবী। মাদক সেবনের টাকার জন্য পূর্বে এরা অনেক এমন ঘটনা ঘটিয়েছে যাহা ভেড়ামারা থানার বর্তমান ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাগণ অবগত। রুপম ওরোফে রোকনের বিষয়ে আরো
খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, তার নীল কালার আর-টি-আর-১৫০ সিসি মটর সাইকেলযোগে মাদক ফেন্সিডিল বহন করে দৌলতপুর হতে ভেড়ামারা পর্যন্ত সারা রাত দাপিয়ে বেড়ায়। রুপম/রোকন
তার নীল কালারের আর-টি-আর-১৫০-সিসি বাইকে চড়ে মাদক সাপ্লাই করে। এমনকি ভেড়ামারা থানা এরিয়াতে রাতে অটোচুরি,ছিনতাই, কাউকে আটকে রেখে টাকা আদায়,ডাকাতি,সব চক্রের সাথে রোকন ওরোফে রুপমের সক্রিয় সক্ষতা। ভেড়ামারা পৌর এলাকার যেসব নৈশ প্রহরী
রাতে ডিউটি করে তাদের কাছে গেলে অধিকাংশ নৈশ-প্রহরী রুপমের বিষয়ে বলে-রুপম সারারাত তার বাইক নিয়ে মাদক সাপ্লায় সহ নানান অপকর্মের রোড ক্লিয়ার দেই। এলাকার বিভিন্ন যায়গায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারী রুপমের বিষয়ে খোজ-খবর নিলে অত্র এলাকার জনসাধারণ ও সু-শীল সমাজের ব্যক্তি বর্গের মতামত কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বহিনীদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষন এ মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবী রোকন ওরোফে রূপমের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে স্বস্তি ফিরবে এলাকাতে-সাথে যে সকল মাদক ব্যবসায়ী রুপমের ছত্রছায়ায় থাকে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ।এ বিষয়ে মাদক ব্যবসায়ী-আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত পরিচয়দানকারী সোর্স,মাদক সেবনকারী রোকন ওরোফে রুপমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার সবগুলো মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।