কুষ্টিয়া দৌলতপুরের এমটিএফই এর সিইও মাশরাফি উজ্জ্বলের আঙুল ফুলে কলাগাছের রহস্য

newsline24newsline24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  01:08 AM, 23 August 2023

আব্দুস সবুর ঢাকা:
কুষ্টিয়া দৌলতপুর হোসেনাবাদ মাস্টার পাড়ার রেজাউল হকের ছেলে মাশরাফি উজ্জ্বল এমটিএফই’র সিইও,প্রতিশ্রুতি দিয়ে সদস্য পদ দিয়েছিলেন বর্তমানে অনেক প্রতারিত হওয়া গ্রাহকদের।সিইও উজ্জ্বল এমটিএফইতে গ্রাহকদের যোগদানের পূর্বে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সমস্যা হলে ইনভেষ্ট ফিরত দেবে গ্রাহকদের।তথ্যানুযায়ী প্রতারিত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি বলেছেন,এমটিএফই এর সিইও উজ্জ্বল লোভনীয় প্রলোভন দেখিয়ে নিঃস্ব করেছে স্থানীয়দের।সিন্ডিকেট করে গ্রাহকদের মন জুগিয়ে যায়গা করে নিয়েছেন সাধারন মানুষদের।উজ্জ্বল সিন্ডিকেট করে টার্গেট করেছিলেন সমাজের উচ্চবিত্ত অর্থশালীদের,সমাজসেবক,শিক্ষক,চাকরিজীবি সহ ভালোমানের পেশাজীবীদের।এই সিইও উজ্জ্বল সিন্ডিকেট হোসেনাবাদ সহ অত্র উপজেলার মথুরাপুর,প্রাগপুর,আদাবাড়ীয়া,ধর্মদহ,গড়ুরা,জয়পুর,বাগোয়ান সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকাতে নিয়ে আসেন এই এমটিএফই সিস্টেম-প্রতারনা ডেসটিনি পলিসি,সাথে সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন।স্থানীয়দের মধ্যে গোপন ভাবে আই ওয়াশ করে সমাজের শিক্ষিত ও স্বচ্ছ ইমেজের ব্যাক্তিদের টার্গেট করেছিলেন।
তথ্যানুযায়ী অর্ধশতাধিক ব্যক্তি বলেছেন,উজ্জ্বলের অসৎ উদ্দেশ্য এখন প্রকাশ হচ্ছে,বেরিয়ে আসছে থলের বিড়াল,বোঝাজাচ্ছে উজ্জ্বলের হঠাৎ করে জমি যায়গা,গাড়ি-বাড়ি সহ ওয়েস্টার্ন জীবন-যাপনের রহস্য!
সমাজের ক্লিন ইমেজ ব্যাক্তিদের সহ আরো অনেককেই ঢাল করে প্রতারনা করেছেন সিইও মাশরাফি উজ্জ্বল।স্থানীয় ভুক্তভোগী প্রতারিত হওয়া অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আরো বলেছেন,প্রায় ১ মাস হলো বিদেশি প্রবাসী হোসেনাবাদ মাষ্টারপাড়ার প্রবাসী আস্তুুলের স্ত্রী,সওদাগরের মেয়ে প্রয়াত টুম্পার সাথে উজ্জ্বল অনৈতিক,অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন,হাতিয়ে নিয়েছিলেন প্রবাসী আস্তুুলের স্ত্রীর কাছ থেকে নগদ অর্থসহ অনেক কিছু,জিম্মি করে রেখেছিলেন প্রবাসীর স্ত্রী টুম্পাকে,এ কারন সহ নানান বিষয়ে টুম্পা আত্মহত্যা করেছেন,উল্লেখিত মেয়েটির আত্মহত্যার প্ররোচনার মূল নায়ক এই এমটিএফ এর সিইও উজ্জল।পরে মামলা মকদ্দমা না হওয়ার জন্য আত্মহত্যা করা মেয়েটির পরিবারকে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মাধ্যমে এমটিএফই’র প্রতারিত গ্রাহকদের টাকার গরমে বিভিন্ন কৌশলে বিষয়টা আপোষ করে উজ্জল।এমটিএফই আসার পূর্বে উজ্জল পেশাতে ছিলেন একজন ইলেকট্রিশিয়ান।এমটিএফইতে উজ্জলের যোগদানের পর ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ ছেড়ে দেয়,নেমে পড়েন সাধারণ মানুষের ব্রেন ওয়াশ করে প্রতারণার রাস্তায়।এমটিএফই-তে প্রতারিত হওয়া গ্রাহকদের টাকায় লোটন হাজ্বীর কাছ থেকে কিনেছেন ৩৭ লক্ষ টাকার জমি,যাহা হোসেনাবাদ গৈড়ীপাড়া মাঠে,চলাচল করেন বিলাসবহুলভাবে।তথ্য নিয়ে আরো পাওয়া যায়,এমটিএফই’র সিইও উজ্জ্বলের রাষ্ট্রীয়ভাবে নেইকোনো অনুমোদন,নেই কোন ট্রেড লাইসেন্স,নেই কোনো রাষ্ট্রের রাজস্ব ডকুমেন্টস,যাহা মানিলন্ডারিং সিস্টেমে পড়ে।সিইও উজ্জ্বলের প্ররোচনার প্রতারনার শিকার কেউ বলছেন,ভাগ্য বদলের আলাদ্দীনের চেরাগ ভেবেই উজ্জ্বলের কথাতে এমটিএফইতে যোগদান করেছেন,লোন(কিস্তি)তুলে,জমি কন্টাকে দিয়ে,পালিত গরু বিক্রি করে,ব্যাংকে গুচ্ছিত টাকা উত্তোলন করে।এসব সমীক্ষা,গাণিতিক নিরীক্ষা যে প্রোগ্রামিং করা তা খালি চোখে দেখা যাবে না।শুভংকরের ফাঁকি বুঝতে পেরেছিলেন না কেউ।এই উজ্জ্বল এমটিএফই এর সি-ই-ও এবং স্বত্বাধিকারী দাবী করা ব্যাক্তির কারনে উজ্জ্বলের প্ররোচনায় প্রায় ২৫০ জন থেকে ৩০০ জন প্রতারিত হওয়া ব্যাক্তিদের মধ্যে চলছে হতাশা অন্ধকারের প্রতিচ্ছবি,আত্মহত্যার নানান মন্তব্য,নানান গুন্জন,আত্মহত্যার ঝুকিতে স্থানীয় নারী ও পুরুষ!লোভনীয় প্রলোভন দেখিয়ে নিঃস্ব করেছে স্থানীয়দের!বদনাম হতে চলেছে দেশ জাতি ও আইন শৃঙ্খলার অবনতি প্রসঙ্গে।সিইও উজ্জ্বলকে শর্ত দেয়া প্রতারিত হওয়া গ্রাহকরা শর্তের ডকুমেন্টস উপস্থাপনা করে টাকার কথা বল্লে উজ্জ্বল গ্রাহকদের বিগত ৭-৮ দিন হলো বলেছেন,সময়দেন টাকা ফিরত দেবো,কিন্তুু
গতকাল হতে উজ্জ্বলের বাড়িতে প্রতারিত হওয়া গ্রাহকরা গেলে উজ্জ্বল তাদের সাথে নানান হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে,এতে অসহায় হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী বেশকিছু ব্যাক্তিরা।এ বিষয়ে উজ্জ্বলের মুঠোফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে মেলেনি কোনো সাড়া।ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন,উজ্জ্বল কে বিশ্বাস করে, না বুঝে লোন তুলে দিয়ে টাকা দিলাম,এখন লোন পরিশোধ করবো কিভাবে!উজ্জ্বলের বিষয়ে তাঁর ওয়ার্ড মেম্বার এনামুল হকের মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,আমার কাছে ভুক্তভোগী কয়েকজন অভিযোগ করেছিলো,গতকাল আমি উজ্জ্বলকে ডাকলাম,ঘটনা জানতে চাইলাম ভুক্তভোগীদের সামনেই,উজ্জ্বল ভুক্তভোগীদের বলল বিষয়টি আমি দেখবো কিছু করা যায় কিনা,পরে ভুক্তভোগীরা উজ্জলের এ কথার শোনার পর চলে গেলেন।তবে উল্লেখিত ঘটনার বিষয় কুষ্টিয়া দৌলতপুর মথরাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনোয়ার কবির মিন্টুর মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,এমন তথ্য আমার কাছে এসেছে,স্থানীয় অনেক সাধারণ মানুষ,না বুঝে,না জেনে,এই প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়েছে,এটা কাম্য নই।জনগণ কেনই বা সরকারের বিভিন্ন ব্যাংক,বিভিন্ন শাখাতে টাকা না রেখে ইনভেস্ট করেছে এটা বোঝা বড় মুশকিল!তবে এমন ঘটনার তথ্য আমার গ্রাম পুলিশ আমাকে আজ অবগত করেছে, আমি বিষয়টি দেখবো,ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষদের জন্য কিছু করা যায় কিনা।

আপনার মতামত লিখুন :