কুমিল্লায় চট্রগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ৭২ জন শিক্ষকদের মধ্যে পাঠদান করলেন-এসপি খাইরুল আলম

newsline24newsline24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  08:54 PM, 20 September 2023

আব্দুস সবুর ঢাকা:
জঙ্গিবাদ বিষয়ে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট কুমিল্লায় চট্রগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ৭২ জন শিক্ষকদের মধ্যে পাঠদান করলেন এসপি খাইরুল আলম।
মঙ্গলবার (১৯সেপ্টেম্বর ২০২৩)পূর্ব শিডিউল অনুযায়ী দুপুর ২টা ৩০ ঘটিকায় উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট কুমিল্লায় ১০০তম উচ্চমাধ্যমিক স্তরের কলেজ শিক্ষকদের”বিষয় ভিত্তিক”কর্ম কালীন প্রশিক্ষণ কোর্সের অংশ হিসেবে জঙ্গীবাদের উপর ক্লাস নির্ধারিত ছিল। চট্রগ্রাম ও সিলেট বিভাগের জেলা সমূহের মধ্যে বিভিন্ন কলেজের সর্বমোট ৭২ জন প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক পদমর্যাদার শিক্ষকবৃন্দ এই প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন।হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো:খাইরুল আলম জঙ্গিবাদের উপর নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে পাঠদান পরিচালনা করেন। তিনি এ সময় বলেন,সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা ও বহুল আলোচিত শব্দ। সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য অভিশাপ এবং মানবতার জন্য চরম হুমকি।পুলিশ সুপার মো: খাইরুল আলম আরো বলেন,বিভিন্ন কারণ সমূহের জন্য বিশেষ করে হতাশা,বিষন্নতা,বিচ্ছেদ,বঞ্চনা,কৌতুহল, বীরত্ব পোষণ,পারিবারিক অশান্তি,বিচ্ছিন্নতা,বন্ধুদের প্রভাব, রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন,আদর্শ প্রতিষ্ঠায় সংকল্প,দারিদ্র্য,বেকারত্ব,শ্রেণী বৈষম্য,ধর্মের প্রকৃত জ্ঞানের অভাব,পারলৌকিক প্রাপ্তির লোভ, আন্তর্জাতিক রাজনীতি,বিভিন্ন ঘটনার প্রভাব,দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উগ্রবাদী গোষ্ঠীর আকর্ষণীয় প্রচারণা এবং ইন্টারনেট ও অফলাইনে চিত্তাকর্ষক প্রচারপত্র/অডিও/ভিডিও এর সহজলভ্যতার কারণ মানুষকে সহজে জঙ্গিবাদের দিকে ধাবিত করে।তিনি আরো বলেন, ফান্ডামেন্টালিজম,এক্সট্রিমিজম অথবা রেডিক্যালাইজেশন মূলত:একটি মানসিক প্রক্রিয়া; যা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে প্রচলিত বিশ্বাস,ধারণা বা প্রথার বিরুদ্ধে নিজস্ব মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আগ্নেয়াস্ত্র বা অন্য কোন উপায়ে বলপ্রয়োগ করে সংশ্লিষ্ট লোকজনদের ক্রমশঃ উগ্রবাদ, সহিংস উগ্রবাদ,সন্ত্রাসবাদ বা জঙ্গিবাদের দিকে নিয়ে যায়।জঙ্গিবাদের ঘটনা ঘটিয়ে বিভিন্ন জঙ্গি গ্রুপ বাংলাদেশে অনেক মানুষকে জিম্মি,আহত এবং পরবর্তীতে হত্যা করে। তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গি দমনে সফল এবং বিশ্বে রোল মডেল।এ ক্ষেত্রে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিটিসি এবং এন্টি টেররিজম ইউনিট (ATU) বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ দমনে মুক্ষ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। পরিশেষে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো:খাইরুল আলম আরো বলেন,পরিবার,শিক্ষক,ঈমাম,ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার লোকজনদের নিয়ে বিটপুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা জোরদার করে সংশ্লিষ্ট কমিউনিটির মানুষের অংশীদারত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে টেকসই ভাবে জঙ্গিবাদ দমন করতে হবে।

আপনার মতামত লিখুন :